বিশ্বের সবচেয়ে বিষ্ময়কর ৫টি সাইকেল

আজকের এই পৃথিবীতে নতুন নতুন জিনিসের আবিষ্কার হয়েই চলেছে। এগুলোর মধ্যে কিছু জিনিস মানুষের অনেক উপকারে আসে আবার কিছু জিনিস আছে যেগুলো শুধু মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আজকের এই বিশ্ব প্রযুক্তির দিক থেকে যতই এগিয়ে থাকুক না কেন তবুও এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলো সবসময়ই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছে। এমনই একটি জিনিস হলো সাইকেল।

সাইকেল এজন্যই জনপ্রিয় একটি বাহন কেননা এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব একটি যান। সাইকেলে চড়ে যাতায়ত করার পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরকেও অনেক ফিট রাখে। তো চলুন আজকে জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে বিষ্ময়কর ৫টি সাইকেল সম্পর্কে।

প্যারাভিলো ফ্লাইং বাইক

আকাশে উড়তে সকলেরই মন চায়। অর্থাৎ, মানুষ আগে থেকেই পাখিদের মতো উড়ার জন্য বিভিন্ন নতুন নতুন আবিষ্কার করে চলেছে। এ পর্যন্ত মানুষের তৈরি এমন কিছু আবিষ্কারও আছে যেগুলো দিয়ে আসলেই পাখির মতো আকাশে উড়া সম্ভব। এমনই একটি সাইকেলও আবিষ্কৃত হয়েছে যেটি হেলিকপ্টারের মতো আকাশে উড়াতে পারে। এটি বিশ্বের একমাত্র সাইকেল যেটি আকাশে উড়তে পারে।

চার চাকার এই সাইকেলের পিছনের দিকে একটি মোটর লাগানো আছে যেটি চালু করার সাথে সাথেই প্যারাসুট ওপেন হয়। এবং তারপরেই আপনি আকাশে উড়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবেন। এই সাইকেলটি আকাশে প্রতিঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার স্পিডে চলতে পারে। এই সাইকেলটির মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা।

জেট বাইসাইকেল

এটি পৃথিবীর সবথেকে ভয়ঙ্কর ও দ্রæতগতির সাইকেলগুলোর একটি। কেননা এই সাইকেলটিতে জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই জেট ইঞ্জিনটির সাহায্যে সাইকেলটি রকেটের সমান গতিতে চলতে পারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই সাইকেলটি প্রতিঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার স্পিডে চলতে পারে।

যারফলে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সাইকেলটির স্পিড দেখে যেকেউ এটি চালানোর জন্য কৌতুহলী হবে। এই সাইকেলটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত সাইকেল বললেও ভুল হবে না।

সিট গো

সিট গো বিশ্বের সবথেকে বিষ্ময়কর ও ফাংশনাল এটি বৈদ্যুতিক সাইকেল। এটির গুরুপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটিকে চালানোর পর মুড়িয়ে নিয়ে যেকোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। যাদের ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকা বিরক্তিকর লাগে তাদেরকে এই সাইকেলটি অবশ্যই কেনা উচিত। কেননা এই সাইকেলটি আপনাকে ট্রাফিকের ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আর এই সাইকেলটির ওজন মাত্র ২০ কেজি।

যারফলে এটি নিয়ে আপনি যেকোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। রাস্তায় এই সাইকেলটি প্রতিঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটা স্পিডে চলতে পারে। আর সাইকেলটির ব্যাটারিটিকে একবার চার্জ করার পর এটি দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পথ অনায়াসেই চালানো যায়। আরেকটি সুবিধা হলো এটি দিয়ে আপনি আপনার মোবাইলও চার্জ করতে পারবেন। বাজারে এই সাইকেলটির মূল্য প্রায় ৪৮ হাজার টাকা।

রিকম্বেন্ট বাইসাইকেল

সাধারণ সাইকেলগুলোতো বসে বসে আরামে চালানো যায়। কিন্তু এটি এমন একটি সাইকেল যেটিকে শুয়ে শুয়েও চালানো যায়। এটাই এইসাইকেলটির অন্যতম একটি সুবিধা। অর্থাৎ আপনি শুয়ে শুয়ে অত্যন্ত আরামের সঙ্গেই এক সাইকেলটি চালাতে পারবেন।

এই সাইকেলটির প্যাডেল সামনের সামনের দিকে থাকায় দূরের কোথাও ভ্রমণের সময়ও আপনার কোনো অসুবিধাই হবে না। ইদানিং এটি অনেক জনপ্রিয় একটি সাইকেল। এজন্যই সাইকেলটির কোম্পানি নতুন করে আলাদা আলাদা মডেলে সাইকেল বানানো শুরু করেছে।

ওয়াকিং বাইক

ওয়াকিং বাইক আমাদের লিস্টেও সবথেকে আজব বিষ্ময়কর একটি সাইকেল। এটির পিছনের চাকাটিকে পোকার-মাকড়ের পায়ের মতো করে তৈরি করা হয়েছে। যা দেখতে অনেক অদ্ভুত ধরণের। এটাই এই সাইকেলটির বিশেষত্য, যার কারণে এটি অন্যান্য সাইকেলগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পোকা-মাকড়ের পায়ের মতো এই চাকাটি বানাতে ৪ শত এরও বেশি জিনিস এতে লাগানো আছে।

এই সাইকেলটির একমাত্র অসুবিধা হলো এটি কেবল সমতল ও বড়সড় জায়গায়ই চালাতে পারবেন। এই সাইকেলটি তৈরি করতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে কোম্পানিটিকে। এইধরণের সাইকেলগুলো বাজারে পাওয়া যায় না। কেননা এটির শুধুমাত্র একটি মডেলই তৈরি করা হয়েছিল।

তো বন্ধুরা এগুলোই হলো বিশ্বের অদ্ভুত ও বিষ্ময়কর ৫টি সাইকেল। এগুলোর মধ্যে কোন সাইকেলটি সবচেয়ে অদ্ভুত লেগেছে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।