হযরত শীস আঃ এর সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী
এক নজরে দেখে নিন হযরত শীস আঃ এর জীবন বৃত্তান্ত !!
![]() |
তৌরাতের হিসাব মোতাবেক, তখন হযরত আদম (আঃ) এর বয়স ১৩০ বছর।
হযরত শীস (আঃ) অপুরুষ সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন। তার আখলাক চরিত্র হযরত আদম (আঃ) এর ন্যায় ছিল। তাই হযরত আদম (আঃ) তাকে সমস্ত সন্তানদের মধ্যে হযরত শীস (আঃ) কেই সর্বাধিক ভালবাসতেন। এজন্যই হযরত আদম (আঃ) মৃত্যুর পূর্বে হযরত শীস (আঃ) কে স্বীয় স্থালাভিষিক্ত বলে ঘোষনা করেছিলেন। আর তাকে অসিয়ত করে যান যে,
যখন নুহ (আঃ) এর যুগে মহা প্লাবন শুরু হবে তখন যদি তুমি জীবিত থাকো তাহলে তুমি আমার হাড়গুলি নুহ নবীর নৌকায় তুলে দিও। আর যদি তুমি বেচে না থাক,
তাহলে তুমি তোমার সন্তানাদিকে এ ব্যাপারে অসিয়ত করে যেও তারা যেন পরস্পরকে এ ব্যাপারে অসিয়ত করে যায়।
হযরত শীস (আঃ) অধিকাংশ সময় হযরত আদম (আঃ) এর নিকট হতে বিভিন্ন সময় বেহেস্তের বিভিন্ন বস্তুর বর্ণনা শুনতেন এবং আসমান হতে অবতীর্ণ প্রন্থের ভাবার্থ জিজ্ঞেস করতেন। অনেক সময় মানুষের সংস্পর্শ বর্জন করে নির্জন স্থানে গিয়ে জিকির ও এবাদতে মশগুল থাকতেন। স্বীয় সংশোধনের দিকে দৃষ্টি রাখতেন। হযরত শীস (আঃ) যুগে বনী আদম দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। কতক লোক হযরত শীস (আঃ) এর অণুসরন করতেন আর কতক লোক কাবিলের সন্তানাদির অণুসরন করতেন। হযরত শীস (আঃ) কাবিলের অনুসারীদেরকে সৎ পথে আসার জন্য অনেক বুঝালেন। কিছু লোক তার উপদেশ শুনে সঠিক পথে আসলেন আর কিছু লোক নাফারমানীতেই লিপ্ত রইল।
হযরত শীস (আঃ) ৯১২ বছর জীবিত ছিল। হযরত নুহ (আঃ) এর যুগে মহাপ্লাবনে হযরত আদম (আঃ) এর সমস্ত বংশধর ধংশ হয়েছিলো। একমাত্র হযরত শীস (আঃ) এর বংশধরই জীবিত ছিল। এজন্য পরবর্তী সমস্ত মানুষ তারই বংশধর। সকলের বংশ পরস্পরা হযরত শীস (আঃ) এর মধ্যে মিলিত হয়।
হযরত শীস (আঃ) পাথর দ্বারা কাবা ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেন। আল্লাহ পাক হযরত আদম (আঃ) কে দুনিয়াতে প্রেরণ করে বেহেস্ত হতে তার জন্য তাবু প্রেরণ করেছিলেন। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পূর্বে হযরত আদম (আঃ) কে আল্লাহ পাক পেরেস্তা দ্বারা এখানেই সেই বেহেস্তের তাবু স্থাপন করেছিলেন। আল্লাহ পাক হযরত শীস (আঃ) এর প্রতি ৫০ টি ছোট ছোট আসমানী কিতাব অবতীর্ণ করেন।