গোপন ক্যামেরার লাইভে ধরা খেল দেশে রোগী না থাকার আসল কাহিনী || কেউ টেস্ট করাতে পারছে না
দেশে কোনো রোগী সনাক্ত না হওয়ার, আসল কাহিনী জানতে ভিডিওটি দেখুন।
তথ্যসূত্র – এই ইউটিউব চ্যানেল থেকে নেওয়া। এই ভিডিও সমস্ত দায়-দায়িত্ব এবং কপিরাইট উক্ত ইউটিউব চ্যানেলের,
এদিকে আরিয়ান মাহমুদ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী, (খিলগাঁও কবরস্থানের পাশে বাসা) তিনি একটা ছবি সহ তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন। খিলগাঁও কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পর্কে, নিচে তার ফেসবুকের পোস্টটি বহু তুলে ধরা হলো।
![]() |
খিলগাঁও কবরস্থান |
আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে একটা জিনিস কোনোভাবেই ঢুকছে না এবং চিন্তা করেও কোনো সদুত্তর পাচ্ছি না….!!!
আমরা প্রতিদিন আইইডিসিআর এর সংবাদ ব্রিফিং দেখছি এবং সে অনুযায়ী আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস এখনো বেশী সুবিধা করতে পারেনি।
কিন্তু অপরদিকে অন্য কিছু নিউজ দেখে ভয়ে উদ্বিগ্ন ও আতংকিত হয়ে উঠি।যেমন, এইযে কিছুদিন আগে দেখলাম আকিজ গ্রুপ ৩০০ বেডের করোনা হসপিটাল বানাচ্ছে। আবার আজকে দেখলাম, বসুন্ধরা গ্রুপ ও ৫০০০ হাজার বেডের করোনা রোগীর জন্য হসপিটাল তৈরী করতে যাচ্ছে..!!
আমার কথা হলো,যদি দেশে করোনা রোগীর পরিমাণ এত অল্প থাকে, তাহলে এত বেডের হসপিটাল তৈরীর প্রয়োজন কেন হচ্ছে..???
আমি কোনো তর্কে যেতে চাচ্ছি না এবং কোনো অতংক তৈরী করার চেষ্টা করছি না..!! আমি এও বলতে চাচ্ছি না যে, সরকার আমাদের কাছ থেকে তথ্য লুকাচ্ছে আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না…!! আমার মস্তিষ্ক বলছে, আসছে দিনগুলো আমাদের জন্য খুব ভয়ানক হতে যাচ্ছে…!! কারণ, আমাদের দেশ থেকে কূটনৈতিকদের নিজ দেশে চলে যাওয়া খুবি আতংকের একটি বার্তা..!! যেখানে তাদের দেশের অবস্থা আমাদের দেশের থেকেও ভয়াবহ।
আমি খুবই উদ্বিগ্ন এইভেবে যে, মানুষের মধ্যে কোনো ভয়ভীতি কিছুই কাজ করছে না..!! প্রথম দুই দিন সবাই বাসায় ছিলো কিন্তু আজকে আমার চারপাশের পরিস্থিতি দেখে মনে হলো দেশে করোনা ভাইরাস বলতে কিছুই নেই। সরকার যে, আমাদের বন্ধ দিলো বাসায় থাকার জন্যে, তার কোনো প্রভাব আমাদের মধ্যে নেই। আমরা কতটা জাহিল, বর্বর, অসভ্য, অবিবেচক হলে এমনভাবে চলাফেরা করতে পারি তা বলার ভাষা আমার নেই।
আমি খিলগাঁও থাকি, বাসা থেকে বাহির হচ্ছি না, এমনকি ভয়ে মসজিদেও নামাজ পড়তে যাই না।আমি যে বাসায় ভাড়া থাকি, সে বাসার ছাদ থেকে খিলগাঁও কবরস্থান দেখা যায়। প্রতিদিনের মত ছাদে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলছি, হঠাৎ করে দেখলাম কবরস্হানে দুটো এ্যাম্বুলেন্স পরপর ঢুকলো এবং আট দশজন লোক বের হলো PPE পড়া এবং দেখলাম দুটো লাশ বের করে একই কবরে দাফন করলো। জানিনা, এই নিউজ কি আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আসবে কি না..!! আমি কিছু ছবি তুলে রেখেছি এবং আমার আশেপাশে যারা ছাদে ছিলো তারাও দেখলাম ছবি তুলছে..!! ব্যাপারটি দেখে এক অজানা ভয় ও আতংক আমার ভিতরে কাজ করছে..!! কারণ দেশের হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিতো দেখছি, সবাই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে..!! অনেকেইত হাসপাতালের দুয়ারে ঘুরে ঘুরে মরছে শুধু এইটুকু জানার জন্যে যে, সে কি করোনা পজিটিভ কিনা..?? কিন্তু দূর্রভাগ্য হলেও সত্য যে, কেউ টেস্ট করাতে পারছে না।
আমার বন্ধু ও আত্মীয় স্বজন এবং ফেসবুকের পরিচিত বন্ধুদেরকে বলছি, কে কি বললো,, আমাদের দেশের আইইডিসিআর কি বললো তাতে আর বিশ্বাস করার কোনো সুযোগ নেই। এখন নিজেদেরকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে..!! সবাই দয়া করে নিজের ঘরে অবস্থান করুন। খুব বেশি দরকার না হলে বাহিরে বের হওয়ার দরকার নেই। যদি যেতেই হয়, তাহলে ভালোভাবে নিজেকে প্রোটেকটিভ করে বেরুবেন। এতদিন জানতাম, যদি নিজের হাতে করোনা ভাইরাস থাকে আর সেই হাত দিয়ে নিজের মুখ, চোখ ও নাক ধরা হয়, তাহলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এখন শুনছি,বাতাসের মাধ্যমেও নাকি করোনা ছড়ায় এবং বাতাসে নাকি ৮ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে। সুতরাং, অব্যশই মাস্ক ব্যবহার করবেন…!!