বাংলাদেশে মিলল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক এবং চিকিৎসা || সারা বিশ্বে তোলপাড়
প্রিয় পাঠক, মূল খবরে যাওয়ার আগে চলুন এক নজরে দেখে নেই এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস এর সর্বশেষ আপডেট ।
নভেল করোনাভাইরাস। চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। এতে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সর্বশেষ করোনা ভাইরাস চলে এসেছে বাংলাদেশেও।
করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। বিশ্বের ১১১টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। শুধু চীনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। অপরদিকে ইরানে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯১ জন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব !!
- এখন পর্যন্ত ৩ জন শনাক্ত ।
- নরেন্দ্র মোদীর সফর স্থগিতের ঘোষণা ।
- এদের দুইজন সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন ।
- এদের সাথে সম্পর্ক আছে এমন ৪০ জন কোয়ারেন্টিনে ।
- বিদেশ থেকে আগতদের ১৪দিনের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ ।
- আক্রান্ত দেশগুলোয় ভিসা দেয়া বন্ধ
- নতুন হটলাইন: ১৬২৬৩, আগের হটলাইনগুলোও চালু থাকবে ।
- মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা কাটছাঁট ।
- যাত্রীর অভাবে বিমানের ফ্লাইট অর্ধেক কমানোর সিদ্ধান্ত ।
- ঢাকায় বাংলাদেশ-ওমান আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ বাতিল ।
- নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দর্শকদের ।
বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে করনা ভাইরাসের প্রতিষেধক এবং চিকিৎসা !!
গতকাল 10 ই মার্চ থেকে এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়, কোন এক অজানা আইডি থেকে প্রথমে এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়, তারপর শেয়ার এরপর শেয়ার লাইক আর লাইক এবং বিভিন্ন রকম মন্তব্য ভরে যায় এই পোস্ট,
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যখন করো না ভাইরাসের প্রভাবে হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে এই ধরনের একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কি ধরনের অবস্থা হতে পারে সেটা সবারই জানা, এখন পর্যন্ত এই সেকেন্দার হোমিও হল এর সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায়নি ।
ছবিতে দেখানো যে ব্যক্তিটি তাকে অনেকেই সেকেন্দার হোমিও হলের মালিক মনে করতেছেন, কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করলে খেয়াল করবেন, আসলে উনি গাছের লতাপাতা শিকর এইসব বিক্রি করতেছেন কোন ওষুধের সাথে হোমিও ওষুধের কোন মিল দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি উনি যেখানে বসে তার লতা পাতা গাছের শিকড় বিক্রি করতে চান, তার ঠিক পিছনে এই পোস্টটি লাগানো আছে অথবা ব্যানার টানানো আছে, তাই ওই মানুষটার সাথে সিকেন্দার হোমিও হল এর কোন সম্পর্ক নাই,
অনেকে আবার দাবি করতেছেন চিটাগাং এর কোন এক জায়গাতে রয়েছে সিকান্দার হোমিও হল, প্রিয় পাঠক সর্বশেষে একটা, যেহেতু করোনাভাইরাস একটা সেনসিটিভ বিষয়, তাই করোনাভাইরাস যেকোনো বিষয় নিয়ে কেউ কোন ধরনের মজা অথবা ট্রল করবেন না। ইতিমধ্যে ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন রকম ফুল তৈরি করেছেন এবং হাসি ঠাট্টা করতেছেন ।
একবার ভেবে দেখুন তো চীনের মতো বাংলাদেশেও যদি একই অবস্থা হয় তাহলে আমাদের পরিস্থিতি কি হবে? চিন অনেক উন্নত একটা রাষ্ট্র । করোনাভাইরাস কিন্তু সেই রাষ্ট্রকেই ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে, আমাদের দেশ অথবা আমাদের সরকারের কিন্তু এই করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষমতা এবং লোকবল কোন কিছুই নেই ।।
তাই আসুন সবাই মিলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এই মরণব্যাধি থেকে সবাইকে যেন আল্লাহ রক্ষা করেন ।। আর শুধুমাত্র সেকেন্দার হোমিওহল নয় ।। এরকম একটা আলোচিত বিষয় নিয়ে সবাই যাচ্ছে এখান থেকে কিছু না কিছু ইনকাম করে নিতে ।। যেমন ধরুন সারা বাংলাদেশের মার্কস ব্যবসায়ীরা এবং হ্যান্ড ওয়াস ব্যবসায়ীরা ।। 10 টাকা মূল্যের একটা মাক্স এর দাম এখন কিন্তু বেড়ে দাঁড়িয়েছে 110 টাকাতে ।। বড় বড় নামিদামি কোম্পানির হ্যান্ড ওয়াশের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে অর্ধেকেরও বেশি ।।
করোনা ভাইরাস এর লক্ষন!!
প্রিয় পাঠক উপরের ছবিটা ভালো করে খেয়াল করুন, এইধরনের কোনো লক্ষণ আপনার অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্য এর ভেতর দেখা দিলে । একমূহুর্ত বিলম্ব না করে নিচে দেখানো ফোন নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করুন।। অভিজ্ঞ চিকিৎসক আপনার বাড়িতে এসে বিনামূল্যে আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করবেন।
করোনা হটলাইন নম্বর।
+8801937000011
+8801937110011
+8801927711784
+8801927711785
আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন?
১. করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রাথমিক সুরক্ষার বিষয়গুলো জানতে হবে।
২. হাত ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। নাক, মুখ, চোখ আবৃত রাখতে হবে যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ না হয়।
৩. বাহ্যিক বিভিন্ন বস্তুর এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত বস্তুগুলো ব্যবহার পর অবশ্যই জীবাণু মু্ক্ত হতে হবে।
৪. অনেকেই মনে করেন ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ পরলে ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই ‘মাস্ক’ সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়, তবে পুরোপুরি আশঙ্কা মু্ক্ত করে না। ‘এন নাইনটি ফাইভ’ নামক ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ সবচাইতে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে এই ক্ষেত্রে।
৫. তীব্র ‘ফ্লু’তে ভুগছেন কিংবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. ১৪ দিনের মধ্যে যারা চীন গেছেন, তাদের এবং তাদের আশপাশে থাকার লোকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৭. এই ভাইরাস থেকে সংক্রমণের পূর্বাভাস দেখা দিলে সুস্থ মানুষের সঙ্গ পরিহার করুন। যাদের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণ হতে না পারে তারে সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৮. বিশ্বব্যাপী সব বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা আছে এমন স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে।
৯. ঘরে থেকে বিশ্রাম নিন। নিজে সুস্থ হন, অপরকে সুরক্ষিত রাখুন।