লকডাউন কি? সময়ের সেরা পোস্ট ।। লকডাউন কেন পালন করা উচিৎ
লকডাউন কি?______________________
এক রাজা তার পোষা কুকুরটিকে নিয়ে নৌ-বিহারে বেরিয়েছিলেন। নৌকার অন্য যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন একজন তান্ত্রিক। কুকুরটি জীবনে কখনো নৌকায় চড়েনি।তাই সে কেবলই ছটফট করছিল। আর তিড়িং বিড়িং করে লাফালাফি করে বাকি যাত্রীদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছিল।
কুকুরের লাফালাফি নিয়ে যাত্রীদের আতঙ্ক লক্ষ্য করে মাঝিরাও ভয় পেয়ে গেলেন যে এই বুঝি নৌকো ডুবল। কুকুরটা যদি লম্ফঝম্প বন্ধ না করে তাহলে নিজেও ডুববে আর বাকিদেরও ডোবাবে। কিন্তু কুকুরের স্বভাবই যদি অশান্ত হয়, তবে তাকে শান্ত করবে কে? পরিস্থিতি দেখে রাজাও চিন্তায় পড়ে গেলেন।তবে এই অবস্থার কোন সমাধান তাঁরও মাথায় এল না।
এক তান্ত্রিক দূর থেকে গোটা ব্যাপারটা লক্ষ্য করছিলেন এবং একটা কুকুরকে নিয়ে এতজনের দূরবস্থা দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। তিনি রাজাকে বললেন- “মহারাজ, যদি আজ্ঞা দেন, এই অস্থির কুকুরটিকে আমি ভিজে বেড়ালের মত শান্ত করে দেব।” রাজাও সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়ে দিলেন।
এরপরে তান্ত্রিক এবং মাঝিরা মিলে কুকুরটিকে ধরে তুললেন এবং সোজা নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। জলে ভেসে থাকার জন্য কুকুরটি পাগলের মতন হাত-পা নেড়ে সাঁতার কাটতে লাগল। সত্যিকারের মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে বাঁচার জন্য আপ্রাণ সংগ্রাম করতে হচ্ছিল তাকে।
এভাবে কিছুক্ষন চলার পর তান্ত্রিক আবার কুকুরটিকে জল থেকে টেনে তুলে নৌকোর উপর বসিয়ে দিলেন। কুকুরটি গা থেকে জল ঝেড়ে চুপচাপ এক কোনায় গিয়ে বসে রইল। নৌকোর দুলুনি, যাত্রীদের কোলাহল, কোন কিছুতেই আর কুকুরটির মধ্যে কোন রকম ছটফটানি দেখা গেল না। যাত্রীরা অবাক, মাঝি অবাক, এমনকি রাজা নিজেও অবাক।
রাজা তখন তান্ত্রিককে প্রশ্ন করলেন- “মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কুকুরের স্বভাবে আমূল পরিবর্তন! এটা কিভাবে সম্ভব?”
তান্ত্রিক জানালেন- “প্রতিটি প্রাণীই একরকম। যতক্ষণ না কেউ নিজে বিপদে পড়ছে, ততক্ষণ সে বিপদের গুরুত্বটা বোঝে না। যেই আমি কুকুরটাকে জলে ফেলে দিলাম, অমনি সে উপলব্ধি করল আসল বিপদ জলে আর নৌকোটা হল বাঁচার উপায়।”
ওই কুকুরটার মতই যারা ভাবছেন, করোনা হয়েছে সামান্য কয়েকজনের। এতে আমার কী ?
ওদেরকে একবার চিন, ইতালি, ইরানের মতো দেশে ফেলে দেওয়া হোক। তাহলেই লকডাউন কেন পালন করা উচিৎ বুঝতে পারবে!
দেখবেন ঘরের মধ্যে ভেজা বেড়াল হয়ে বসে থাকবে! সংগৃহিত গল্প