কানাডায় পুলিশের পোশাক পরা বন্দুকধারীর হামলা : নিহত ১৬

কানাডার পূর্বাঞ্চলে নোভা স্কশা প্রদেশে পুলিশের পোশাক পরিহিত এক বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে দেশটির নোভা স্কটিয়া প্রদেশের অঞ্চলের পোর্টেপিকে হামলা চালায় ওই বন্দুকধারী। এ ঘটনায় বন্দুকধারীরও নিহত হয়েছেন।

বন্দুক হামলায় নিহত নারী পুলিশ হেইডি স্টিভেনসন রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) কনস্টেবল। তিনি ২৩ বছর আরসিএমপিতে কাজ করেছেন।

কানাডিয়ান পুলিশ জানায়, গাড়ি ধাওয়ার পর দুর্বৃত্তকে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১২ ঘণ্টার রোমহর্ষক অভিযান।
একটি গাড়িতে চড়ে পুলিশের পোশাক পরে হামলা চালায় ঐ বন্দুকধারী এবং গাড়িটি দেখতেও পুলিশের গাড়ির মতই ছিল। পুলিশ আশঙ্কা করছে, এ ঘটনায় আরও অনেকে হতাহত হয়েছেন।

হামলাকারীর নাম গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান (৫১) বলে শনাক্ত করে নোভা স্কটিয়া পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, যদিও তিনি আরসিএমপির (রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ) ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন, তিনি এর কোনো সদস্য নন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ১২ ঘণ্টা ধরে হামলা চালানোর পর নিহত হন হামলাকারী। এর আগে গাড়িতে চেপে একাধিক জায়গায় হামলা চালান তিনি।

এ ঘটনাকে ‘ভয়ানক পরিস্থিতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নোভা স্কটিয়া প্রদেশের প্রিমিয়ার স্টিফেন ম্যাকনেইল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি আমাদের প্রদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সংঘাতের ঘটনা।’

রোববার এক টুইট বার্তায় নোভা স্কটিয়া পুলিশ জানায়, গাড়িটির পেছনের দিকে যাত্রী বসার জানালার ওপরদিকে লেখা ছিল ২৮বি১১। অথচ আরসিএমপির গাড়ির নম্বরপ্লেটে হ্যাশ চিহ্ন রয়েছে, যা হামলাকারীর গাড়িতে ছিল না। ২৮বি১১ নম্বরের গাড়ি দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯১১ নম্বরে কল করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও কানাডায় অস্ত্র আইন অনেক বেশি কঠোর। তাতে দেশটিতে গোলাগুলিতে নিহতের ঘটনা খুবই কম। এর আগে ২০১৯ সালে দুই তরুণ নর্দার্ন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় তিনজনকে হত্যা করে। আর ১৯৮৯ সালে কুইবেকের একটি কলেজে এক বন্দুকধারী ক্লাসরুম থেকে সব পুরুষকে বের করে দিয়ে নির্বিচারে ১৪ জন নারীকে হত্যা করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *