জেনে নিন রোজার নিয়ত, সাহরি ও ইফতারের দোয়া

মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় এক মাস সিয়াম সাধনা করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। রোজা রাখা ও রোজা ভেঙে ইফতার করার জন্য রয়েছে দোয়া। যার মাধ্যমে নেকি লাভ করা যায়।

অনেকে হয়ত এ দোয়া জানেন না। কিংবা জানলেও ভুলে গেছেন। তাদের জন্য দেওয়া হলো রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়াঃ

রোজার নিয়তঃ
ﻧَﻮَﻳْﺖُ ﺍَﻥْ ﺍُﺻُﻮْﻡَ ﻏَﺪًﺍ ﻣِّﻦْ ﺷَﻬْﺮِ ﺭَﻣْﻀَﺎﻥَ ﺍﻟْﻤُﺒَﺎﺭَﻙِ ﻓَﺮْﺿَﺎ ﻟَﻚَ ﻳَﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﺘَﻘَﺒَّﻞ ﻣِﻨِّﻰ ﺍِﻧَّﻚَ ﺍَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴْﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴْﻢ
আরবি উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি ইসতেগফার পড়াঃ
ﺍَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢ – ﺍَﻟَّﺬِﻯْ ﻟَﺎ ﺍِﻟَﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍَﻟْﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ﻭَ ﺍَﺗُﻮْﺏُ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَ ﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻰِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢ
আরবি উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার করাঃ
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺻُﻤْﺖُ ﻭَ ﻋَﻠَﻰ ﺭِﺯْﻗِﻚَ ﻭَ ﺍَﻓْﻄَﺮْﺕُ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻳَﺎ ﺍَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻴْﻤِﻴْﻦ
আরবি উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
ইফতারের পর আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে দোয়া পড়াঃ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেনঃ
ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﺑْﺘَﻠَﺖِ ﺍﻟْﻌُﺮُﻭْﻕُ ﻭَ ﺛَﺒَﺖَ ﺍﻟْﺄَﺟْﺮُ ﺍِﻥْ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠﻪُ
আরবি উচ্চারণঃ ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
বাংলা অর্থঃ ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সাহরির পর নিয়ত করা, ইফতারের আগে তাওবা-ইসতেগফার করা, ইফতারের সময় দোয়া পড়া এবং ইফতারের পর শোকরিয়া আদায় করে দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Similar Posts