|

নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে রামপালে অর্ধশত ব্যক্তি । বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে স্ত্রী সহ, বাবা মা । এলাকা জুড়ে তোলপাড়






আমরা জানি এখন শুধু চীনের উহান শহর বা ইউরোপীয় দেশ নায় । বাংলাদেশ সহ পুরা বিশ্ব COVID19 নিয়ে চিন্তিত, ভয়ার্ত, আতংকিত,।
এই করোনার ভয়ানক থাবা থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও গুরুত্বপূর্ণ কিছু জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, একটা এলাকা থেকে অন্য এলাকায় এমনকি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।

এত সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর মধ্যে এক নাম্বারে রয়েছে ঢাকা এবং দ্বিতীয় নাম্বারে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহর । 

উল্লেখ্য অনেকেই নারায়ণগঞ্জকে বাংলাদেশের উহান শহর মনে করছে, এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ নারায়ণগঞ্জ জেলা কে লকডাউন ঘোষণা করার পাশাপাশি, নারায়ণগঞ্জ থেকে কেউ যাতে বাইরে বের হয়ে এই রোগ ছড়াতে না পারে তার জন্য নেয়া হচ্ছে কঠিন সব ব্যবস্থা। 

ইতিমধ্যে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বেশ কিছু জেলাতে শনাক্ত হয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগী, বেশকিছু মৃত্যুর খবরও রয়েছে। যার এক তৃতীয়াংশ নারায়ণগঞ্জ ফেরত।




কিছুদিন আগে IEDCR থেকে ঘোষণা করা হয়, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাতে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ফেরত লোকেরা। তাই নারায়ণগঞ্জ এর উপরে একটু বাড়তি নজর রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঠিক এই মুহুর্তে বাগেরহাট জেলার, রামপাল থানার, ৭নং পেড়িখালী ইউনয়নের, ৬নং ওয়ার্ডের সাতপুকুরিয়া গ্রামে, পিতা আফসার উদ্দীন্নের ছেলে মো মারুফ বিল্লাহ (২৫) গত ১৬/০৪/২০২০ তারিখে ১ জন
ও ১৭/০৪/২০২০ তারিখে মৃত আনার আলী সেখ এর ২ ছেলে মো মুজাহিদ সেখ (৩০) ও মো আতাহের আলী সেখ (২৪) দুজন মোট এই তিনজন নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ী আসে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।

বাগেরহাট জেলার এস বাংলার প্রতিনিধি জানান, মারুফ বিল্লাহ বাড়ী আসবে এই সংবাদ শুনে তার পিতা মোঃ আফসার উদ্দীন তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তার নানা বাড়ী চলে গিয়েছে।
এবং মারুফ বিল্লাহকে ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আনিস মাঝি ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।




আরো জানা যায় মৃত আনার আলী সেখ এর ২ ছেলে বাড়ী আসাকে কেন্দ্র করে তার বড় ছেলে মোঃ মুজাহিদ সেখ এর স্ত্রী ১৭/০৪/২০২০ তারিখ দুপুরে তার বাবার বাসায় চলে যান,
এবং তার মা পাশের বাসায় চলে জান।

এই খবর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়ানোর আগেই ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আনিস মাঝি তাদের ২ ভাই সহ তার মা মোট ৩ তিনজনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।
এবং তিনি এস বাংলা প্রতিবিধিকে আরো জানান, আমি রামপাল থানায় ওসি সাহেবের সাথে কথা বলেছি । তিনি বলেছে, মেম্বর সাহেব যে নির্দেশ দিয়েছে সেটাকে অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম ঠেকাতে সরকার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা কররার পরথেকে বিভিন্ন কৌশলে নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে শুরু করে এইসব শ্রমিকরা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *