পানি পান করে রোজা রাখছেন মালয়েশিয়ায় অনেক প্রবাসীরা শ্রমিকরা



করোনার তাণ্ডবে থেমে আছে পুরো বিশ্ব। প্রবাসী যারা আছে সবাই নিজ পেটের জন্য ও পরিবারকে একটু ভালো রাখার জন্যই কষ্টের প্রবাস জীবনে নিয়মিত যুদ্ধ করে ঠিকে আছেন। মালয়েশিয়া লকডাউন বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি ভুমিকা পালন করছে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে।

সারা বিশ্বের এই ক্লান্তি কালে সব থেকে বিপাদে আছে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসীরা আছে চরম বিপাদে করোনা তান্ডবের আগেই কুয়ালালামপুরে কাজের অপেক্ষায় ছিল অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক। কিন্তু এই মুহূর্তে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জারি করা লকডাউন। যার ফলে যার ফলে প্রায় ৬০,০০০ বাংলাদেশি শ্রমিক খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

তবে বিপাকে পরেছে অনেক প্রবাসীরা যাদের আয় করা ছাড়া নেই খাবারের কোনো নিশ্চয়তা, তারা খেয়ে না খেয়ে বহু কষ্টে পাড় করছে দিন, আর একই দশায় হয়ত তাদের পরিবার পরিজনরাও।

দুঃখজনক হল মালয়েশিয়ায় অনেক প্রবাসীরা শুধু পানি খেয়ে রোজা রেখেছেন। বর্তমানে তারা কঠিন পরিস্থিতির। তাদের বাইরে বের হলে আটক করবে পুলিশ, আর কাজ ছাড়া ঘরে বসে থাকলে উপাস।

যারা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রয়েছেন তারা কোনো ধরনের সাহায্য পাচ্ছেন না। স্প্যানিশ, আফ্রিকান, পাকিস্তানীদের পরই বাংলাদেশীরা রয়েছেন সেই তালিকায়। এ শ্রেণীর কাগজপত্রহীন প্রবাসীর বড় একটি অংশ রেস্টুরেন্ট অথবা গ্রোসারি স্টোরে কাজ করতেন। রেস্টুরেন্ট থেকে এখন শুধুমাত্র ‘টেক-আউট’ অর্থাৎ অর্ডার দিয়ে খাবার বাসায় নেয়া যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টে বসে খাবার অনুমতি না থাকায় সে সব শ্রমিকেরা বেকার।

বিপদে পড়েছেন ছোট ছোট কারখানার শ্রমিক যারা লেবার কনট্রাকটরদের অধীনে কাজ করেন। লকডাউন প্রায় এক মাস হতে চলেছে। ফলে তাদের মধ্যে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন বলে ধারণা করা হয়।



Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *