সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ঐ কলেজ ছাত্র তুষার হোসেন জনি (২০)। সে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র ও পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
যুগিখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তুষার জনির সঙ্গে একই গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে খোর্দ গার্লস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার রাতে প্রেমিকার বাবা কামরুজ্জামান ও তার চাচা ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে প্রেমিক জনিকে বাড়িতে ডেকে আনে। এরপর তাকে বাড়ির পাশে নিয়ে মারপিট করে।
মারপিটের এক পর্যায়ে জনির আত্মচিৎকারে পাইক গ্রামের স্থানীয়রা জনিকে বাঁচাতে ছুটে এলে প্রেমিকার বাব ও চাচা কৌশলে পালিয়ে যায়। মারপিটের সময় জনির মাথায় প্রচুর আঘাত করার কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, পরে জনিকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বৃহস্পতিবার সকালে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে, সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনিকে রেফার্ড করেন। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সে মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে কামরুজ্জামানের বাবা রিয়াজ উদ্দিন, স্ত্রী আসমা খাতুন, স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা বাকিদেরও খুব দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।