ছবি- প্রতীকী
আশুলিয়ায় বান্ধবীর মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটক আলমগীর মিয়া (৪০) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার আকন্দপাড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার মানিকগঞ্জপাড়ায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে বসবাস করেন। গতকাল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১০ বছর বয়সী ওই স্কুল ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকগঞ্জপাড়া এলাকায় ধর্ষকের ভাড়া বাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আটক ধর্ষক আলমগীর মিয়া গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার আকন্দপাড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে।
বর্তমানে তিনি ইয়ারপুর ইউপির মানিকগঞ্জ পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে মাটি কাটার ভেকুর ঠিকাদারি করেন। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোরে আশুলিয়ার মানিকগঞ্জ পাড়া এলাকা থেকে ধর্ষক আলমগীর মিয়াকে আটক করা হয়। পরে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার এসআই আব্দুস সালাম জানায়, গত ৯ এপ্রিল ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকঞ্জপাড়া এলাকায় আলমগীরের ভাড়া বাসায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভাড়া বাসা থেকে আলমগীর মিয়াকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন দুপুরে প্রতিবেশী এক বান্ধবীর সাথে বান্ধবীর মামা আলমগীর মিয়ার বাসায় বেড়াতে যায় সে। ওই বাসায় যাওয়ার পরে আলমগীর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি যাতে কেউ জানতে না পারে এ জন্য ভয়ভীতি দেয়ায়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে আলমগীর পুনরায় ওই স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে হাত ধরে টানাটানি করে তার বাসায় নিয়ে যেতে চায়। এ ঘটনাটি একজন দেখে তার বাবাকে জানায়। পরে ওই স্কুলছাত্রী তার বাবাকে আগের ঘটনা সব বলে দেয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘আমাদের প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে তার মামা আলমগীর মিয়ার বাসায় বেড়াতে যায় আমার মেয়ে। ওই বাসায় আলমগীর মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে ভয়ে সেই দিন এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষক আলমগীর ফের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। হাত ধরে টানাটানি করে। এ ঘটনা একজন দোকানদার দেখে আমাকে জানায় এবং মেয়ে আগের ঘটনাটি আমাকেসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে আমি এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। ধর্ষক আলমগীরকে পুলিশ আটক করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রতিবেশী কিশোরী জানায়, আলমগীর মামা আর আমরা এক সময় পাশাপাশি বাড়িতে থাকতাম। তিনি আমাদের পূর্ব পরিচিত। তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঘটনার দিন তার বাসায় যাই। তার স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে আমি টয়লেটে গেলে আমার সঙ্গে যাওয়া ওই মেয়েকে মামা অন্য একটি রুমে নিয়ে রুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করেন
কাউকে বললে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমরা ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি।