মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে বিয়ে করবেন কেন।
মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েরা, মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেদের পছন্দ করলেও অধিকাংশ মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেরা কিন্তু মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েদেরকে কোন এক অজানা কারণে পছন্দ করেনা।
মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেদের প্রতি মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েদের হৃদয়ের টান অনেক বেশী। মাদরাসা পড়ুয়া অনেক মেয়ের কথা শুনা যায় যে, কোন ছাত্রী বিবাহ হয়ে মাদরাসায় আসলে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করে :
-কিরে! তোর বর হুজুর না খেজুর ? হুজুর মানে মাদরাসা পড়ুয়া, দাড়ী- টুপিওয়ালা। খেজুর মানে দাড়ী ছাড়া / সাধারণ মানুষ।
মাদরাসার ছাত্রদের প্রতি তাদের ভালবাসা সীমাহীন। কারন মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েরা স্বামীদের অতি বেশী ভালবাসে এবং স্বামীর প্রতি তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা অনেক বেশী। কেহ যদি বলেন :তারা তো স্বামীর আদেশ মানেনা, অনেকে আবার পর্দাও করেনা। তাদের বলি আচ্ছা ভাই ! বলুন তো? এই সংখ্যাটা কি অনেক বেশী নাকি কম? যদি বলেন বেশি তাহলে আমি বলবো : কাপর সাদা হওয়ায় দাগটা ফুটে উঠেছে।
আর যদি বলেন কম, তাহলে বলবো : কম দিয়ে বেশীকে বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তার পরেও যদি কেউ বিপথগামী হয় তাহলে জিজ্ঞাসা করবো : যদি এই মেয়েটি মাদরাসায় না পড়ে কলেজ- ভার্সিটিতে পড়তো তাহলে কেমন হতো ? লাকি কিংবা ঐশীর মত হত?
আমার দৃষ্টিতে পছন্দ না করার কারন এটা হতে পারে :
১/নিজের চেয়ে যদি জ্ঞানসম্পন্ন হয়, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর কাছে লজ্জিত হওয়ার ভয়।
২/নিজের চেয়ে যদি দ্বীনদার হয়,
সে ক্ষেত্রে দ্বীন সম্মন্ধে নিজের উদাসীনতা স্ত্রীর কাছে প্রকাশ হওয়ার ভয়। স্ত্রী যদি নিজের চেয়ে বেশি জ্ঞান সম্পন্ন হয় সে তো সৌভাগ্য!
স্ত্রী যদি দ্বীনদার হয় তবে তো জান্নাতের পথ পাওয়া অনেক সহজ । কারণ আপনি যখন কোন গুনাহর কাজ করবেন, সে আপনাকে বাঁধা দিবে। আর নিজেও গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকবে।
যে সব কারণে মহিলা মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েদের বিয়ে করা উচিৎ।
১ :- পর্দানশীন হয়ে থাকে।
২ :- স্বামীকে অত্যাধিক ভালোবাসে।
৩ :- পরকিয়া প্রেমে জড়ায় না।
৪ :- সহিহভাবে কুরআন পড়তে পারে।
৫ :- শরিয়াত সম্মন্ধে পূর্ণ ধারণা রাখে।
৬ :- ভবিষ্যত প্রজন্মকে দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিতে পারবে।
তবে সর্বশেষ কথা হলো ভালো মন্দ সব জায়গাতেই আছে। তবে মাদ্রাসার লাইনে ভাল ‘র সংখ্যাটা বেশি। আর বর্তমানে স্কুল কলেজে তো নতুন প্রপোজ প্রজন্ম গড়ে উঠছে। প্রকাশ্যে প্রপোজাল করে কিস লেনদেন করে!