করোনা ভাইরাস সংক্রমনের মধ্যেও ট্রেন বন্ধ থাকার পরও রাজশাহী রেলস্টেশনে ট্রেনের লরি থেকে তেল চুরি হয়ে গেছে। ট্রেনের তেলবাহী ওয়াগান থেকে তেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৩ জনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় রেলওয়ের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে রেলওয়ে রাজশাহী পশ্চিম স্টেশন এলাকার তেল পাম্পে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
এসময় জব্দ করা হয়েছে পাচারের কাজে ব্যবহারিত লরি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে স্টেশনের ভেতরে তেল পাচারের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, কর্মচারী মুকুল আলী ও লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন। এছাড়া চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রেলওয়ের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ট্রেনের পাওয়ার কার নিয়মিত কিছু সময়ের জন্য চালু রাখতে গত ২০শে এপ্রিল ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীতে ৩০ হাজার লিটার তেল আসে। কিন্তু, সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসান সেই তেল ব্যবহার না করে একটি চক্রের মাধ্যমে পাচার করে আসছিলো।
স্থানীয় ও রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেশ কয়েক ট্রাক তেল চুরি হয়েছে। সর্বশেষ দুপুরে এক ট্রাক তেল চুরির সময় বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি ধরে ফেলেন। তবে ট্রাকচালক পালিয়ে যান। কে কে এই চুরির সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তেল চুরির সময় রেলের নিরাপত্তা সদস্যরা আমজাদ, মুকুল ও ইলিয়াসকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আশরাফুল ইসলাম নামের আরও একজন পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।