মা তারুণ্যের পথপ্রদর্শক ও প্রেরণার উৎস হিসেবে সন্তানের পাশে চাদরের মতো জড়িয়ে থাকেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মা এই শব্দটি উচ্চারণ করার মধ্যেই অবধারিত সুখের সন্ধান পাওয়া যায়। সে কারণে একটু আঘাত পেলে মনের অজান্তে মুখ থেকে মা শব্দটি উচ্চারিত হয়ে যায়। শিশুকাল থেকে এ পর্যন্ত মায়ের কাছে শুধু হেরেই গেলাম। কোন দিন জিততে পারিনি।
ছবিতে এক মায়ের ঘর নেই বাড়ি নেই থাকতে হয় ফুটপাতে। দু’বেলা আহারও জোটে না, এক বেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। নিজেদের ঘুমানোর জন্য নেই আরামের বিছানা। মা বিছানা ছাড়া ঘুমালেও ছোট্ট স্নেহের শিশুটির আরামের জন্য মশারি টাঙ্গিয়ে বিছানার মধ্যে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন ।
ছবিটি সিলেট নগরীর ক্বীনব্রিজ এলাকা থেকে তুলেছেন রেজওয়ান আহমদ।
কিছু বাস্তবতা বলতেই হয়, সমাজের হাজারো গঞ্জনা সয়ে কোনো কোনো মা শুধু সন্তানের দিকে তাকিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। বিভক্তির এই দুনিয়ায় সবকিছুই যখন বৈষম্যের মোড়কে ঢাকা তখনো মায়ের ভালোবাসা অবিভক্ত। যে মা গর্ভধারণের কষ্ট সহ্য করলো, কষ্ট করে লালন পালন করে বড় করে তুললো, যে পিতা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপাজন করে সন্তানের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজন মিটালো, আজকাল দেখা যায় তারা কখনও কখনও সন্তানের অসহ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ান। তাই আজকের সভ্য সমাজে বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য মা দিবসের প্রচলন শুরু হয়েছে। একদিনের মা দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে প্রকৃত মাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা আমাদের প্রিয় মাকে প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধাভরে ভালোবাসতে চাই।