আটার বস্তায় টাকা রাখার লোক আমি নই: আমির খান

বিনোদন ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের জন্য ভারতে চলমান লকডাউনে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। দীর্ঘমেয়াদে এই লকডাউনে মানুষের জীবিকার সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা দৈনিক উপার্জন করেন। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন বলিউড তারকারা। সেই তালিকায় আমির খানও আছেন। তবে কোথাও প্রকাশ করেননি অনুদানের অঙ্ক বা কোথায় দিয়েছেন সাহায্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেছেন, তাঁর নামে মিথ্যে খবর রটানো হচ্ছে, এভাবে টাকা পাঠানোর লোক তিনি নন।


করোনাভাইরাসের এমন সংকটকালে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৫৫ বছরের আমির খান। টিকটকের একটি ভিডিওতে কয়েক দিন আগেই দাবি করা হয়েছে আমির খান নগদ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন এই মানুষগুলিকে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক ট্রাক ভর্তি আটার বস্তা।



দাবি করা হয়, আমির খান সেটি পাঠিয়েছেন। ২৩ এপ্রিল এই ট্রাক পৌঁছেছে দিল্লিতে। এক কিলো আটার প্যাকেট খুললেই পাওয়া যাচ্ছে ১৫ হাজার রুপি নগদ। অনেকেই নাকি ওই প্যাকেট দেখে ভেবেছিলেন যে, কী হবে এই এক কিলো আটা নিয়ে। তবে যারা নিয়েছেন তারা নাকি খুলেই হাতে পেয়েছেন সারপ্রাইজ। ভিতরে রাখা রয়েছে ১৫ হাজার রুপি।

এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বন্ধুরা, গমের প্যাকেটে টাকা রাখা ব্যক্তি আমি নই। এটা পুরোপুরি ভুয়া খবর বা রবিন হুড নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। আপনারা নিজেদের খেয়াল রাখুন, লাভ ইউ।’

টুইটের পর অবশ্য ‘গজনী’ খ্যাত এই নায়কের প্রশংসায় পঞ্চ’মুখ অনেকে। টাকা না দিয়েও প্রচারের সুযোগ অনেকেই হাতছাড়া করতেন না। কিন্তু ‘কেয়ামাত সে কেয়ামাত টাক’ এর নায়ক সেটি করলেন না। তাইতো সে সত্যিকারের হিরো আমাদের।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অন্য তারকারা কে কি অনুদান দিচ্ছেন তা জানা গেলেও এ বিষয়ে নীরব আমির খান। তবে বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পিএম কেয়ারস ফান্ড, মহারাষ্ট্র মূখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড, ফিল্ম ওয়ার্কাস অ্যাসোসিয়েশন ও কয়েকটি দাতব্য সংস্থায় সাহায্য করেছেন এই অভিনেতা। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী সিনেমা লাল সিং চাড্ডা’র দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে কাজ করা কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *