এই নারী অন্যকে শুধু জড়িয়ে ধরে লাখ টাকা আয় করেন!


নিউজ ডেস্ক: বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা আবার কেউ ভিক্ষাবৃত্তি আবার কেউ অন্যায়ভাবে পতিতাবৃত্তি সহ চোরাচালানকারী হিসেবে রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এদের মধ্যে কারো পেশা হাস্যকর, কারোটা অতি ভংঙ্কর আবার কারোটা রহস্যজনকও। তাছাড়া কেউ নিজেদের পেশা অন্যকে বলে গর্ববোধ করে আবার কেউ আছেন যারা নিজের মান ক্ষুন্ন হবে ভেবে তার পেশা কি? তা কারো কাছে প্রকাশই করেন না। পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তৈরি করেছে কর্মসংস্থানের জন্য নানান নতুন কৌশল ও অপকৌশল।

এবার আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে। এমন পেশার নাম কী শুনেছেন কখনো? যেখানে শুধু জড়িয়ে ধরে লক্ষাধিক আয় করেন। না শুনলে আজ এই পোস্টে আপনাদের শুনাবো এমনই এক নারীর গল্প যিনি কিনা, নিজেকে স্পর্শ করিয়ে আয় করে থাকেন লক্ষাধিক টাকা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন নারী আছেন যিনি শুধু অন্যকে জড়িয়ে ধরেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেন। ওই নারীর নাম রবিন স্টেইন, থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি একজন পেশাদার কাডলিস্ট।

রবিন স্টেইন


আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যম তার বিবৃতি দিয়ে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, এই নারীর একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। ওই সাইটের মাধ্যমে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও মেলামেশা শুরু করেন। এরপর তিনি তার গ্রাহকদের সঙ্গে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা করে সময় কাটান। এ সময়ে তার কাজ হলো শুধু তার গ্রাহকদের পরম যত্নে জড়িয়ে ধরা। তিনি কখনো তার গ্রাহককে সামনে থেকে জড়িয়ে ধরেন আবার কখনো পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন।

শুধু জড়িয়ে ধরার জন্য তিনি প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০ মার্কিন ডলার করে নেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এভাবে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা গ্রাহকদের সঙ্গে সময় কাটান। আর তাদের কাছ থেকে তিনি আয় করেন মাসে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।

কিন্তু তিনি কেন এমন অদ্ভূতুরে  কাজ করেন? রবিন স্টেইনের কথায়, এখন সকলেই ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য একটু একটু করে আত্মীয়-পরিজনদের থেকে সরে যাচ্ছেন অনেকেই। মনের মধ্যে ভিড় করছে একাকিত্ব আর হতাশায়। আর তা দূর করতেই এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে চান তার কাছে অনেকেই। পুরুষ থেকে মহিলা, কিশোর-কিশোরী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলের জন্যই রবিন এই থেরাপি দেন।

 পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ‘স্নুপিং’ দিচ্ছেন রবিন স্টেইন তার পুরুষ গ্রাহককে।

তার কথায় তিনি দাবি করেন, গোটা বিষয়টিই বৈজ্ঞানিক। যেমন সামনে থেকে জড়িয়ে ধরাকে বলে কাডলিং। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার নাম স্নুপিং। আর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়াকে বলা স্নুগলিং। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করছেন বলে জানান রবিন। তবে সঙ্গে একটা শর্তও রাখেন তিনি। আগেই তিনি গ্রাহককে জানিয়ে দেন যে সেশনের সময় তিনি পুরো পোশাকেই থাকবেন উলঙ্গ কিংবা নগ্ন নয়।

ওই মহিলা রবিনের প্রেমিকও বিষয়টি জানেন। আর এ বিষয়ে তার কোনও আপত্তি কিংবা কোনো আক্ষেপ নেই। প্রেমিককেও সপ্তাহের দশ ঘণ্টা এভাবে সময় দেন রবিন। আর পোষ্য বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান সপ্তাহের প্রায় সাত ঘণ্টা। তার মাঝেই অন্যদের একাকিত্ব দূর করতে সময় কাটান রবিন।

এবার আমাদের পাঠকদের মনে ওই মহিলার অদ্ভূতুরে এই কাজের জন্য প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘এমন কাস্টমার কীভাবে পান তিনি?’ আসলে এই বিশ্বে হরেক কাজের মানুষ যেমন আছে ঠিক তেমনি হরেক মানুষ আছে যারা টাকা নষ্ট করার পথও খুঁজেন। আর ওই মহিলা তার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এমন মানুষ খুঁজে বের করেন, যারা টাকা অপচয়ের রাস্তা খুঁজেন। আর তাদেরকে কাছে টেনে তিনি তার ইনকামের রাস্তা সুগম করেন।আর নিজেকে স্পর্শ করিয়ে আয় করে থাকেন লক্ষাধিক টাকা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *