নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি মে মাসের শেষের দিকে অনলাইনে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। সে লক্ষে সাধারণ ছুটির মধ্যেও ফল প্রকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সকল শিক্ষা বোর্ডগুলো।
তবে ফলাফল প্রকাশের পরই ৬ই জুন থেকে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে, ঈদের ঠিক আগে বা পরে এ ফলাফল প্রকাশ করার লক্ষ তাদের। আজ সোমবার (১১ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ফল প্রকাশে অন্যান্য বছরের মতো কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে হবে না। শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে মূলত এসএমএস ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে। আবার আগে থেকে শিক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রাখলে তাদের মোবাইলে ফল প্রকাশের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর প্রধান পরীক্ষকরা ওএমআর শিট নিয়ে বোর্ডে আসতে পারছিলেন না। এতে ফলাফল প্রকাশের কাজ আটকে ছিলো। তবে পোস্ট অফিসগুলো খোলার পর ১০ই মে’র মধ্যে ওএমআর শিট ডাকযোগে পাঠাতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ৯০ শতাংশ ওএমআর বোর্ডে চলে এসেছে। এগুলো স্ক্যান করতে করতে বাকিগুলোও চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আর এসএসসির ফল প্রকাশের পরপরই দ্রুততার সঙ্গে আগামী মাসেই অনলাইনে একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবো আমরা। সূত্র জানিয়েছে, এই ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত। ১৬ই আগস্ট থেকে ক্লাস চালু হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে (পরীক্ষার পর ৬০ দিন) ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। গত ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ওই দিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মে মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। আর শেষ হয় ৫ মার্চ। চলতি বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৬৮ জন। এরমধ্যে অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন।