আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এইতো মাত্র কিছু’দিন আগে উত্তর কো’রিয়ার নেতা কিম জং উনের মৃত্যু’র খবর প্রকাশ করেছিল হং’কং স্যাটেলাইট টেলিভিশন। এ গু’ঞ্জনের মধ্যে কিম জং উন এখনো অব্দি ‘বেঁ’চে আছেন এবং ভালো আছেন’ বলে দাবি করেছিলেন দক্ষিণ কো’রিয়ার পর’রাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ‘চাং ইন মুন’।
তবে এবার দেশটির সংসদ সদস্য জি সিয়োং হো’র দাবি করে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মারা গেছেন’। তিনি আরো বলেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত না হলেও “৯৯ ভাগ” নিশ্চিত কিম জং উন আর বেঁচে নেই’।
গত ২০ দিন ধরে জন সম্মুখে আসছেন না উত্তর কোরিয়ার নেতা ‘কিম জং উন’। গত ১৫ এপ্রিলে ছিলো কিম জনের দাদা তথা উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা দ্বিতীয় “কিম সাং”-এ’র (১০৮তম) জন্মবার্ষিকী। সেখানে কিমের অনুপস্থিতিই আরো উসকে দেয় জল্পনা-কল্পনা। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি, এমনকি তার মৃত্যুর গুঞ্জনও শোনা গেছে।
জি সিয়োং হো’র দাবি, ‘এ সপ্তাহের শেষেই কিমের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করবে উত্তর কোরিয়া’।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ”ইয়োনহাপ”কে তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি কিমের “কার্ডিওভাসকুলার-সার্জারি” সফল হয়নি। গত সপ্তাহে কিম মারা গেছেন বলে আমি কয়েকটি সূত্রে খবর পেয়েছিলাম। আমি এ ব্যপারে এখনো “৯৯ শতাংশ” নিশ্চিত।’
কোন সূত্রে এ খবরেরর সত্যতা পেয়েছেন তা জানাননি “জি সিয়োং হো”। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ধারণা করছেন, কিমের ছোটবোন “কিম ইয়ো জং” পদত্যাগ করতে পারেন বলে দেশটিতে উত্তরাধিকার নিয়ে জটিলতা চলছে। তবে অনেকের দাবি “কিম জং” উনের বোন “কিম ইয়ো জং” তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।’
তবে সকল গুজব বিরুদ্ধাচরণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলছে, “উত্তর কোরিয়ার সরকারি কার্যক্রমে তারা অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেনি। কিমের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কোনো ইঙ্গিত সরকারি কার্যক্রমে দেখা যায়নি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ”ডোনাল্ড ট্রাম্প” অবশ্য সম্প্রতি বলেছেন, “কিম জং কোথায় আছেন?” তিনি জানেন কিন্তু বলবেন না।
উল্লেখ্য, এর আগে “২০১৪ সালে ৪০ দিন জনসমক্ষে আসেননি কিম জং উন।”
সংবাদঃ নিউইয়র্ক পোস্ট।