কোন বয়সে যুবতীরা শরীরের খিদের তাড়নায় পাগল হয়ে পড়ে জানেন কি?‌


অনলাইন ডেস্ক:: শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বা যৌনতা দিয়েই প্রায় সব প্রেমের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হয়ে থাকে। সাধারণ এ ব্যাপারে নারীদের বুক ফাটে কিন্তু তবুও তারা মুখ ফুটে কিছু বলেন না। তবে অনেক সময়েই মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারলেও মনে মনে অদ্ভুত ‘‌সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি’‌-‌র ক্ষেত্রে নারী কিন্তু পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে নেই। বরং এগিয়েই আছেন তারা। বিভিন্ন গবেষণা তাই প্রমাণ করে। শৈশব থেকে শারীরিক পূর্ণতার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ নারী হয়ে ওঠার পর যৌন সম্পর্কের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর সমষ্টিই হচ্ছে নারীর যৌনতা।

একাধিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার অভিজ্ঞতা এবং গবেষণা দুইই বলছে সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের যৌন চাহিদা অনেক বেশি হয়। তবে মহিলাদের মধ্যে যেকোনও বিষয়ে চেপে রাখার এক অসামান্য ক্ষমতা থাকার কারণে অনেক পুরুষ সঙ্গীই বিষয়টি আঁচ করতে পারেন না। কিন্তু গবেষণা বলছে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যে কোনও মহিলার যৌন চাহিদা একেবারে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়। তখন তাঁদের পক্ষে বিষয়টি চেপে রাখাও বেশ দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। 
একথা একেবারেই মিথ্যা নয়। কারণ, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেয়েরাই শারিরীক ভাবে অনেক বেশি চাহিদা নিয়ে জীবন কাটায়।
তবে সম্প্রতি টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ‘২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মহিলারাই সাধারণত সেক্সের তাড়নায় পাগল হয়ে যান। বিবাহিত হলে, স্বামীর প্রতি অত্যাধিক কামাসক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টিও এই সময়েই বেশি দেখা যায়। তাঁদের তখন যৌন আবেদনও এই বয়সেই সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়। অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি অন্য। ছেলেরা ৩০ এর পর থেকেই তাঁদের যৌন ক্ষমতা একটু একটু করে হারাতে থাকেন।’

গড়ে দেখা গিয়েছে যে, একজন পুরুষের যৌন জীবন অনেক তাড়াতাড়ি শুরু হয়, আর একজন নারীর যৌন জীবন শুরু হতে হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। ভারতে যা সমাজ ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে এই কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই পুরুষের চাহিদাও ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু নারীর চাহিদা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। একটা সময়ের পর সে পাগল হয়ে যৌন চাহিদা পূরণের তাগিদে। আর সেই কারণে অনেক নারী এই বয়সের পর পরকীয়াতেও জড়িয়ে পড়েন। একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনের আকঙ্খার কারণে তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে সবটাই হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। নারী প্রকৃতিই এমন ভাবে কাজ করে। 
যে কারণে একটা সময়ের পরে তাঁদের কামুক প্রকৃতি তাঁদের একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনের আকঙ্খা বাড়িয়ে তোলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *