সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল চত্বরেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। প্রসব বেদনা উঠলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের বিধান দাসের স্ত্রী শিমুলী রানী দাসকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় হাসপাতাল চত্বরে ভ্যানের উপরেই সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। গত ১ মে (শুক্রবার) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোমবার (৪ মে) এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় স্বাস্থ্য বিভাগে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত। আগামী সাতদিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, ‘ঘটনাটি জানার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে, গত শুক্রবার (১ মে) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ শিমুলী দাস বর্তমানে তিনি সন্তানসহ সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা ঝঁটিতলা এলাকায় বাবার বাড়িতে রয়েছেন।
শিমুলী রানী দাসের মা অষ্টমী রানী দাস বলেন, ‘প্রসব বেদনা উঠলে আমার মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যাই। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা কোনো চিকিৎসা দেননি। কিছুক্ষণ পরই মেয়ের প্রচণ্ড প্রসব বেদনা ওঠে। সঙ্গে একজন ধাত্রী থাকায় হাসপাতাল চত্বরে ভ্যানের ওপর ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় শিমুলী। পরে আমরা ওই ছেলে সন্তানসহ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন।