নিজস্ব প্রতিনিধি (পিরোজপুর) :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক তরুণীকে অপহরণ করে টানা ছয় দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহাদাৎ মল্লিক (২১) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ওই যুবক উপজেলার মিরুখালী উইনয়নের ছোট শৌলা গ্রামের মৃত হাফিজ মল্লিকের পুত্র। মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে পুলিশ ওই ধর্ষককে তার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে।
এর আগে গত সোমবার (২৫ মে) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তরুণীর বাবা। তারপরই অভিযুক্তকে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড় শৌলা গ্রামে।
পুলিশ ও থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাহাদাৎ ওই তরুণীর পূর্বপরিচিত। তরুণীর মামাবাড়ি আর অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি একই গ্রামে। সে সূত্র ধরে সম্প্রতি ধর্ষক যুবকের সাথে ওই তরুণীর পরিচয় ও মোবাইল নাম্বার বিনিময় হয়। তাদের মধ্যে মোবাইলে কথা হতো। গত মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকাল ৫টার দিকে ওই তরুণী তার নিজ বাড়ি থেকে ঈদের কেনা-কাটা করতে উপজেলার মিরুখালী বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু বাজারের ব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে সেখানে ২টি মোটর সাইকেল নিয়ে ফাঁদ পেতে থাকা শাহাদাৎ ও তার ২ সহযোগীসহ ওই তরুণীকে জোর করে তুলে অপহরণ করে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, পরে ওই যুবকের মোটর সাইকেলে করে সেখান থেকে জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা এলাকার একটি একতলা বিল্ডিং কক্ষে নিয়ে ৬ দিন আটকে রাখে। এ সময় তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে গত রবিবার (২৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে ওই যুবক ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ওই তরুণী নিজ বাড়িতে আসে। এরপর মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে।
ঘটনার মামলা প্রসঙ্গে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আ জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ওই তরুণীকে অপহরণ করে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শাহাদাৎ মল্লিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।