দরজা কেটে ঘরে ঢুকে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ধর্ষণ, বিচার পায়নি অর্ধমাসেও


নিজস্ব প্রতিনিধি :: বগুড়ার শেরপুরে গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানা পুলিশে অভিযোগ দেয়ার অর্ধমাস অতিবাহিত হলেও বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধর্ষিতা। 

জানা যায়, ধর্ষক মানিক মিয়া এলাকায় একজন প্রভাবশালী লোক হওয়ায় এবং শহরের কতিপয় নেতাদের সাথে সখ্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে পারছেনা পুলিশ। এমন ঘটনায় ধর্ষকের নানা ভয়ভীতিতে নিজ জীবন শঙ্কায় রয়েছেন বলে ভূক্তভোগী জানান।

এতে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে গত মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন এক সন্তানের জননী ওই নারী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধুনট উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া বর্তমানে ১৪/১৫ বছর যাবত তার শ্বশুরবাড়ি চৌবাড়িয়া বসবাস করে ট্রাক কিনে ব্যবসা করে আসছে।

এদিকে মমতা খাতুন গত ৫ মাস আগে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে নিজ পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। সেজন্য তার উপর কু-নজর পড়ে লম্পট মানিক মিয়ার। এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মানিক মিয়া গত ২৯ এপ্রিল বুধবার গভীর রাতে ওই নারীর শোবার ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক মুখে কাপড় চেপে এবং ধাঁরালো চাকু দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি জানাজানি না করতে তার ট্রাক গাড়ি লিখে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক মানিকক মিয়া। পরবর্তীতে ঘটনাটি ওই নারী তার বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনদের বিস্তারিত জানায় এবং গ্রাম্য মাতব্বর একই ইউনিয়নের সদস্য খলিলুর রহমান ও পুটু মিয়াসহ কয়েকজন মাতব্বরদের কাছে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিচার চায়। এতে গ্রাম্য মাতব্বররা শালিশী বৈঠকের নামে কালক্ষেপণ করায় গত ৩ মে রাতে ধর্ষক মানিক মিয়াকে আসামী করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের এসআই আজাহার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও লিখিত অভিযোগের ১৬দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর মুঠোফোনে জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Similar Posts