জানা যায়, শনিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকায় একটি ধানক্ষেতে ওই নবজাতকে কুড়িয়ে পাওয়া যায়। পরে তিনি তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-উর-রশিদের কাছে নিয়ে আসেন। নবজাতকের শরীরে প্রসবের রক্ত মাখা ছিল। পরে বাচ্চাটিকে স্থানীয় মোশারফের ঔষুধের ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে তারা জানান বাচ্চাটি সুস্থ আছে। এরপর তারা স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন।
ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন উর রশিদ জানান, ‘কবিরুল ইসলাম নামের এক যুবক ধানক্ষেতে গিয়ে জীবিত অবস্থায় ওই নবজাতককে দেখতে পান। সেখান থেকে ওই নবজাতককে নিয়ে ইউপি সদস্য হারুন উর রশিদের কাছে নিয়ে আসেন।’
ওই ইউপি সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনি শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে কোলে তুলে নিয়ে মা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। যদি ওই শিশুটির বৈধ অভিভাবক না পাওয়া যায়, তবে তিনিই মা হিসেবে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু কন্যাকে লালন পালন করবেন বলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
এরপর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার শিশুটিকে নিয়ে তার নিজ বাসভবনে চলে যান।
এদিকে, একজন ইউএনও’র মহানুভবতার এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।