নিজস্ব প্রতিনিধি:: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতিতে কর্মহীন দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নগদ সহায়তায় অর্থ ছাড় করেছে বর্তমান সরকার।জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের এককালীন দুই হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। সারাদেশের মোট ৫০ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হবে। এতে সরকারের মোট খরচ হবে এক হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালায় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুকূলে অর্থ বিভাগের দুই শাখা থেকে মোট এক হাজার ২৫৭ কোটি ছাড় করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ বিভাগের বাজেট ১ শাখা থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬২৭ কোটি টাকা, বাকি ৬৩০ কোটি টাকা ছাড়া করা হয়েছে বাজেট ৩ শাখা থেকে।
খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষদের সুরক্ষায় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোজার ঈদের আগ পর্যন্ত এই টাকা দেওয়া হবে সুবিধাভোগীদের। তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরিবারগুলোকে টাকা দেয়া হবে মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং শিওরক্যাশ।
অর্থাৎ নগদ সহায়তা হলেও কাউকে নগদে টাকা দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে এমএফএসে বড় আকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো পাবে প্রতি হাজারে মাত্র ছয় টাকা।এ হিসেবে হাজারে ছয় টাকা হিসাবেই পৌঁছানোর মোট খরচ দাঁড়ায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ টাকা সরকার বহন করবে। পরিবারগুলোর কোনো টাকা দিতে হবে না। এ কারণে খরচের জন্য আলাদাভাবে সাত কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
তবে মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। সবচেয়ে বেশি ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ।