বরগুনায় মেয়েকে বেঁধে রেখে মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ


বরগুনা, বরিশাল সংবাদদাতা : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল বরগুনা জেলায় সাত বছরের এক কন্যাসন্তানকে গাছের সাথে বেঁধে মেয়েকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ওই মহিলা তার কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা গ্রাম থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামে খালার বাড়ি রওনা দেন। 

সেখান থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে রওনা দেন। মোটরসাইকেল ড্রাইভার তাদেরকে নিয়ে নির্জন জঙ্গলের দিকে যান। সেখানে নিয়ে এলাকার কয়েকজন বখাটে মিলে শিশুসন্তানকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মাকে গণধর্ষণ করে। 

ওই গৃহবধূ আজ শুক্রবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে রওনা দিয়ে পাথরঘাটা পৌঁছাই। পাথরঘাটা থেকে নৌকা পাড় হয়ে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভসন্ধ্যা ঘাটে নামি। তারপর এক মোটরসাইকেল ড্রাইভারের সাথে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট যাওয়ার চুক্তি করি। মোটরসাইকেল ড্রাইভার আমাকে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাটে না নিয়ে বাগানের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার সঙ্গীয় আরেক মোটরসাইকেল ড্রাইভার ও আরো পাঁচজন লোককে মোবাইলে ডেকে এনে আমার মেয়েকে গাছের সাথে ওড়না দিয়ে বেঁধে গলায় ছোরা ধরে। 

আমার ছোট  সাত বছরের মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে আমাকে ধর্ষণ করে। 

ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরও বলেন, পরে তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার জ্ঞান ফেরার পরে ওই জায়গা থেকে এক বাড়িতে এসে একটু পানি খেতে চাইলে গ্রামবাসী কেউ আমাকে একটু পানি পর্যন্ত দেয়নি। তারপর দেখি ওই এলাকার কয়েকজন লোক পাশেই ট্রলার মেরামত করতেছিল। তারা আমাকে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করে দিলে আমি আমার খালার বাড়ি চলে আসি। আমার মামলা করার মতো তেমন কোনো টাকা-পয়সা নেই। আপনারা সাংবাদিক, আমি আপনাদের মাধ্যমে আইনীভাবে ঘটনার কঠোর বিচার চাই। 

এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিম নিজেই থানায় এসেছে, ভিকটিমের জবানবন্দি নিয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।


Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *