আপত্তিকর নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ, অভিযুক্ত ২ স্কুল পড়ুয়া আটক


অনলাইন ডেস্ক :: সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ  উঠেছে ৩ স্কুল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভারতের তামিলনাড়ুর সুন্দরাপুর এলাকার।

ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত বছর ১১ বছর ববয়সী প্রিয়ংকা (ছদ্ম নাম)। তার পরিবারের সদস্য বলতে বাবা ও এক পিসি ছাড়া আর কেও নেই।
গত কয়েক মাস আগেই প্রিয়ংকার মা অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরিবারের বাকি সদস্যরা কর্মরত হওয়ার ফলে দিনের বেশ অনেকটা সময়ই বাসায় একা কাটাতে হত প্রিয়ংকাকে। একা থাকতে ভালো না লাগলে মাঝে মধ্যেই সে একতলায় বাড়ির মালিকের ঘরে টিভি দেখতে যেত।
বাড়ির মালিক দম্পতির সঙ্গে একতলার ওই ঘরে থাকত তাদের একমাত্র ছেলে দশম শ্রেণীর পড়ুয়া রনজিৎ (ছদ্ম নাম)। তার বাবা-মাকেও চাকরি সূত্রে রোজই বাইরে যেতে হত। তাই এতে করে বাড়িতে বেশ অনেকটা সময়ই রনজিৎকেও একা কাটাতে হত। মাঝে মধ্যেই একাকিত্বের সময় কাটাতে বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে এনে আড্ডা বসাতো রনজিৎ।
এমনিইই একদিন পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকার সময় বাড়ির মালিকের ঘরে টিভি দেখতে যায় প্রিয়ংকা। ঘরে গিয়ে সে দেখে, সমিরণ নামে (ছদ্ম নাম) এক বন্ধুর সঙ্গে বসে মোবাইলে নগ্ন আপত্তিকর ভিডিও দেখছিল রনজিৎ। বাড়িতে কেউ নেই দেখে সঙ্গে সঙ্গেই চলে যেতে চায় প্রিয়ংকা। কিন্তু জোর করে তাকে আপত্তিকর ভিডিও দেখতে বাধ্য করে রনজিৎ ও তার বন্ধু সমিরণ। কিছুক্ষণ পর কোনোক্রমে সুযোগে পালিয়ে তার ঘরে চলে যায় প্রিয়ংকা।
এরপরেই বেশ কয়েকবার বাড়িতে কোন সদস্য না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রিয়ংকার ঘরে পৌঁছে যায় ওই দুই পড়ুয়া। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তারা প্রিয়ংকাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাদের এক বন্ধু শিপলু দাসকে (ছদ্ম নাম) ফোন করে ডেকে পাঠায় ওই দুই স্কুল পড়ুয়া ছেলে। 
এবারও ফের আগের মতোই নগ্ন আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে প্রিয়ংকাকে ধর্ষণ করা হয়। এখানেই শেষ নয়, পরের এক সপ্তাহে বাড়িতে কেউ না থাকার সময়ই প্রিয়ংকার বাড়িতে একসাথে হানা দেয় ওই তিন বন্ধু। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। 
আতঙ্কে কারণে প্রথমে পরিবারের লোককে কিছু জানায়নি প্রিয়ংকা। কিন্তু কিছুদিন পর পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু বয় ওই কিশোরীর। অসুস্থ হয়ে পড়ায়,  চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় তিন বন্ধুর লোমহর্ষক ধর্ষণের কথা। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় মহিলা থানায় খবর পাঠান ওই চিকিৎসক। 
এ ঘটনায় রনজিৎ ও সমিরণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার (২০ জুন) ওই দুই অভিযুক্তেকে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করবে পুলিশ। অন্যদিকে তৃতীয় অভিযুক্ত শিপলু দাস এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *