গৃহপরিচারিকার পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলা, শিক্ষকের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক :: গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়ার বাসায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী  রোকসানা পারভীন গৃহপরিচারিকার ধর্ষণের মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক, পরিকল্পিত এবং সাজানো বলে  দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।


অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী আরও বলেন, গৃহপরিচারিকা চার লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে সে আমার স্বামী গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে।


রোকসানা পারভীন তার লিখিত বক্তব্যে  বলেন, গত বছর তিনেক আগে দূরসম্পর্কের ভাতিজিকে সুন্দরগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়ার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসি। সেই সাথে কথা ছিল মেয়েটি আমার বাড়িতে পাঁচ বছর থাকলে বিয়ের খরচাসহ যাবতীয় সাহায্য দেব। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটির এমন অদ্ভূত আচরণে আমি কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি। 


এ নিয়ে সন্দেহ হলে পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে দেখি তার দুলাভাই এবং চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তার বেশ কিছু রেকর্ডিং ও ম্যাসেজ সে সংগ্রহে রেখেছে।


এ অবস্থার আরও বেগতিক দেখে তাকে আমি গত ১৪ মে, বৃহস্পতিবার তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসি। সেই সঙ্গে তার পরিবারকে জানিয়েছি যে, উচ্ছৃঙ্খল ও সন্দেহজনক আচরণের কারণে আপনার মেয়েটিকে আমার বাড়িতে রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। ওই সময় মেয়ের বাবা আমাকে জানান মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করবেন বলেছেন। তখন আমি বলেছি বিয়ের সময় খরচা দেব। এ কথা বলে মেয়েটিকে তার বাবার কাছে ওই অবস্থায় রেখে আসি।


লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ৪ জুন, বৃহস্পতিবার মেয়ে এবং তার পরিবারকে ফুসলিয়ে মেয়েটির সঙ্গে আমার স্বামী ইউনুস আলীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে আমাদের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেন স্থানীয় শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক। 


একই সঙ্গে আরও এক লাখ টাকা বাড়তি দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে দায়ের করা হয়। আর অবাক করা বিষয় হলো যে, গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে বাবা-মা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও মেয়েটির সৎ দাদি মালেকা বেওয়াকে দিয়ে বাদী করে সদর থানায় এই মামলা  দায়ের করা হয়।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর দাদি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পরে এই মামলাটি রুজু করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শিক্ষক ইউনুস আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্ত শেষে বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে।


এসবাংলা/সংবাদ/২০

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *