ডেস্ক রিপোর্ট :: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় মেহেদির রং মুছে যাবার আগেই ফুটফুটে সুন্দরী নববধূ রোজিনা বেগমকে (১৮) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ঘটনাটি তাদের বিবাহের মোহরানা নিয়ে ঝগড়ার জেরে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় পাষণ্ড স্বামী মেহেদী হাসানকে (৩৮) পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনাটি গত শনিবার (২০ জুন) ভোরে আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের গুডুম্বা-পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডটি ঘটনানোর পর স্ত্রী রোজিনার নিতর মরদেহটি সড়কের ওপর ফেলে রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যান তার স্বামী মেহেদী।
ঘটনার বিষয়ে চানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, উপজেলার হরিসাড়া গ্রামের ইজিবাইকচালক মেহেদী হাসানের সঙ্গে গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মাদ্রাসাছাত্রী রোজিনার দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। তিনি আরও জানান, আর সেই গভীর সর্ম্পকের জের ধরে তার আগের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও প্রায় দেড় মাস আগে মেহেদী হাসানের সঙ্গে রোজিনার বিয়ে হয়।
আরও সূত্রে জানতে পারা যায়, নতুন ওই বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকত। এর জজের ধরে শুক্রবার রোজিনা তার বাবার বাড়িতে গুডুম্বায় থাকাকালীন দিনভর মোবাইল ফোনে স্বামীর সঙ্গে মোহরানার বিষয় নিয়ে বিবাদ চলতে থাকে।
ঘটনার এক পর্যায়ে ওই রাতেই মেহেদী হাসান এসে তার স্ত্রী রোজিনাকে শ্বশুড় বাড়ি থেকে তার বাড়িতে হরিসাড়ায় নিয়ে যান। এর পর শনিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা রোজিনার বাড়ির কিছু দূরে রাস্তার ওপর তার রক্তমাখা নিতর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
এ অবস্থার পরে পুলিশ রোজিনার মরদেহ উদ্ধারের পর পরই অভিযান চালিয়ে স্বামী মেহেদী হাসানকে হরিসাড়া গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এসবাংলাপ্রো/২০২০