যুবতীকে ধর্ষণ করলো ছেলে, বাবা দিলেন মেয়েকে দুশ্চরিত্রার আখ্যা!

নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ছেলের বিরুদ্ধে। উপজেলার ৮নং বাহাদুরপুর ইউপির জারুল্যাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী ওই যুবকের নাম মাসুদ রানার (১৮)। মাসুদ রানা ওই গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে। ধর্ষণের ফলে ওই যুবতী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হলে আলোচনায় আসে।

জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীর বাবা একজন দিনমজুর। ধর্ষণের বিচারের আশায় দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী যুবতীর পরিবার।

উপজেলার জারুল্যাপুর গ্রামে খড়িবাড়ি নিয়ামতপুর রোড সংলগ্ন তহিরের মোড়ের পশ্চিম পাশে দুই কক্ষ বিশিষ্ট বসত বাড়ি নির্মাণ করেন যুবতীর বাবা। কিন্তু অর্থাভাবে এখন পর্যন্ত বাড়ির প্রাচীর নির্মাণ করতে পারেননি। জীবিকার তাগিদে মেয়েকে ওই বাড়িতে রেখেই স্বামী-স্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমনুরা নামক স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।

এদিকে এই সুযোগে প্রতিবেশী মাসুদ রানা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটির সঙ্গে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় এতে এক পর্যায়ে ওই মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী যুবতীর মা অভিযোগ করে বলেন, গত মাসের মঙ্গলবার (২৬ মে) ঘটনার বিচার চেয়ে বাহাদুরপুর ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ঘটনার কোনো সুবিচার পাননি তিনি। বিচারের আশায় তাদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। অথচ এ ঘটটনার বিচার পাওয়ার জন্য অভিযোগ করার পর থেকে মাসুদের পরিবার মামলা না দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ওই যুবতীর পরিবারকে হুমকি ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।

এদিকে অভিযুক্ত মাসুদ রানার বাবা রইচ উদ্দিন বলেন ওই মেয়েকে দুশ্চরিত্রা। মেয়েটির অসৎ চরিত্রের আখ্যা দিয়ে বলেন, তার একাধিকবার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কোথাও সে স্বামীর সংসার করতে পারেনি। ইতোপূর্বে ওই পরিবারটি এলাকার অনেক ছেলেকে এভাবে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করেছে। তার ছেলেকেও একইভাবে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বাহাদুরপুর ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিন বলেন, গত মাসের শনিবার (৩০ মে) গ্রামের উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে আপোষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে ছেলে পক্ষ আপোষ মানতে নারাজ।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *