হেলথ ডেস্ক :: যৌনতায় বাড়তি আনন্দ কে না পেতে চায়। তাই যৌন আনন্দেরর ভুবনে হারিয়ে যেতে সকলেই চায় দীর্ঘ সময় ধরে সঙ্গিনীরর সান্নিধ্যে থাকতে। পৃথিবীর সব পুরুষ ও মহিলা উভয়ই চায় এ মিলনের সময় দীর্ঘতম করতে। আর প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে স্বাদের যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা অচিরেই নষ্ট হয়ে যায়।
তাই আজ আমরা দীর্ঘ সময় মিলন করার তিনটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব:
শুধু তাই নয়, পৃথীবিতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনও না কোনও এক সময় এই অভিযোগটা করেন যে, বিয়ের কিছু বছর পেরুলেই পরস্পরের প্রতি প্রবল আকর্ষণটা যেন কোথায় হারিয়ে যায়।
প্রিয় পাঠক, একদিনে সবকিছুর আকর্ষণ নিঃশেষ হয়ে যায় না। নিঃশেষ হতে থাকে তা ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ। বিশেষ করে স্বামীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীদের প্রতি। আবার স্ত্রীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন নিজ স্বামীর প্রতি।
আর এর করুণ ফলাফল হয় পরকীয়া। যা আপনারা আধুনিকতার এ দুনিয়ায় হরহামেশা দেখতেই পান। আর সংসার ভাঙ্গুক কিংবা নাই ভাঙ্গুক, কিন্তু দু’জনার সম্পর্কটা ঠিকই ভাঙ্গে।
এতসবের পর কখনো কি ভেবেছেন এমন কেন হয়? দুটো মানুষ পরস্পরকে খুব ভালোবেসে বিয়ে করলেও কেন হারিয়ে যায় তাদের প্রতি একে অপরের আকর্ষণ? কেন হারিয়ে যায় স্বাভাবিক মিলন করার মন মানসিকতা আর কিভাবেই তা ফিরে পাওয়া যায়?
তবে আমরা আজ এসব খুঁজতে যাব না। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনারাই খুঁজে বের করবেন। তবে কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আমাদের দেয়া তিনটি পদ্ধতির ধারণা দিতে:
পদ্ধতি ০১ । চেপে বা টিপে (স্কুইজ) ধরা:
চেপে বা টিপে স্কুইজ করার এই পদ্ধতিটি আবিষ্কারক মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে বা টিপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কীভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে চলে এসেছে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র বা বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা বা মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে)। চাপ ছেড়ে দেওয়ার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতি নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
আর এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।
তবে স্কুইজ পদ্ধতিতে এক মিলনেই আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করাটাই বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
পদ্ধতি ০২ । সংকোচন (টেনসিং) করা:
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে বেসিক ধারণাটা জেনে নেয়া দরকার৷ মুত্রত্যাগ করার সময় পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দিতে হয়৷
এখানে উল্লিখিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখানে আপনাকে খিচুনী প্রয়োগ করতে হবে, তবে চাপ নয়।
মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। তারপর ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনি দিন। এভাবে ২ বা ১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ বা অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।
সংকোচন পদ্ধতিটি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। তবে সব পদ্ধতির কার্যকারিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করাটাই বোকামির কারণ।
পদ্ধতি ০৩ । বিরাম (টিজিং বা পজ এন্ড প্লে) পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিটি হলো বহুল ব্যবহৃত একটি কার্যকর পদ্ধতি। সাধারণত পৃথিবীব্যাপী সকল যুগলরা এই পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন।
এই পদ্ধতিতে মিলনকালে আপনার বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌঁছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যাৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গিয়েছে তখন পুনরায় আপনার কাজ চালনা শুরু করতে পারেন।
তবে, বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এই পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন।
আবারও বলছি, মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকরিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।
উপরের সবকটি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে কয়েকটি পদ্ধতির আলোচনা। অনেকের ধারণা নারী এ ট্রিকস গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
তাদের এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করছে। কারণ সে জানে আপনি বেশি সময় নেওয়া মানে তার লাভবান হওয়া একটু বাড়তি সুখের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া।
আজ এইটুকুই পরবর্তীতে আমি আরো হেলথ টিপস নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হবো, ঠিক ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।
আমাদের টিপস আপনার ভালো লেগে থাকলে একটা শেয়ার তো পেতে পারি। কি বলেন? স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসব তথ্য জানতে লজ্জা নেই বরং যে লজ্জাকে হারিয়ে সফল সেই দাম্পত্য জীবনে সুখি।