জেনে নিন মিলনের স্থায়িত্বকাল বাড়ানোর উপায়গুলো!


অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক পুরুষ স্বল্প-সময়ের মধ্যেই বীর্যপাত করেন যার ফলে নারী অতৃপ্ত থেকে যায়। তাই যৌন মিলনের সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত তাই যৌন মিলনের সময় বাড়ানোর উপায়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো:-

মিলনকালের পর্ব শুরুর পূর্বে যা যা করবেন,

আপনার শোবার ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। এটি শুধু ঘুম এবং যৌন মিলনের জন্য ব্যবহার করুন এবং মিলনের সময় ঘরে হালকা আলো জ্বালিয়ে রাখুন, রোমান্টিক গান চালু রাখুন।

মিলনকালের পর্ব শুরুর পরে যা যা করবেন,

#নিজেকে অযথা উত্তেজিত হতে দিবেন না,আপনি জানেন যে ব্যপার টি হতে চলেছে তাই ধৈর্য ধরুন।ব্যাপারটি নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না, ধীরে শুরু করুন। সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তার সাথে রোমান্টিকতা করুন, তাকে আপনার দেয়া আদুরে নাম ধরে ডাকুন, তাকে জানান যে আপনি তাকে ভালবাসেন। এর কারন হল পুরুষ এর যৌন চাহিদা জৈবিক, কিন্তু নারীদের তা নয়। তাদের এই চাহিদা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, তাই উত্তেজিত হতে সময় লাগে। যদি সঙ্গিনির মন খারাপ, শরীর খারাপ থাকে তাহলে মিলন করবেন না কারন তখন তার শরীর সাড়া দেবে না।

#চুম্বন দিয়ে শুরু করুন এবং তা দীর্ঘায়িত করুন এবং স্পর্শ কাতর অংশে প্রথমেই হাত দিবেন না, তার আশে পাশে স্পর্শ করুন, যখন বুঝবেন আপনার সঙ্গিনীর উত্তেজনা উঠছে তখন স্পর্শ কাতর অংশে মৃদু ভাবে আদর করুন ।

#আপনার সঙ্গিনী পুরোপুরি উত্তেজিত হবার ১-২ মিনিট পর মিলনের প্রস্তুতি নিন। সঙ্গিনীর দেহে লিঙ্গ প্রবেশ এর পূর্বে আপনার যৌনাঙ্গ দিয়ে দিয়ে তার যৌনাঙ্গে হালকা ভাবে আদর করুন, সঙ্গীকে জানান যে আপনি এখন প্রবেশ করতে যাচ্ছেন,এর ফলে সে আপনাকে ভিতরে নেয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হবে।

#কক্ষনোই জোর করে ঢুকানোর চেষ্টা করবেন না, যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যৌনাঙ্গ আপনাকে নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয় তবে তাকে আশ্বাস দিন যে অসুবিধা নেই আর সঙ্গিনীকে রাগ দেখাবেন না । যৌনাঙ্গ সবসময় এক ধরনের রেসপন্স নাও দিতে পারে। যদি রাগ দেখান তাহলে পরবর্তীতে সে উত্তেজিত হবার বদলে ভয় পাবে এবং তার মস্তিস্ক রেসপন্স করতে প্রচুর সময় নিবে।

#প্রবেশ এর পর আস্তে আস্তে আদর করুন, সঙ্গিনীকে মন থেকে ভালোবাসার কথা বলুন, তার সারা শরীর এ হাত বুলান। মনে রাখবেন যে, যদি আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে ভালবাসা পূর্ণ শারীরিক আদর লাভ করে তাহলে এটি তার কাছে আনন্দময় মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হবে , এবং তা সুখকর স্মৃতি হিসেবে তার মস্তিস্কে জমা হবে। ফলাফল হিসেবে পরবর্তীতে যৌন মিলনের সময় তার রেসপন্স অনেক ভালো হবে।

#সঙ্গিনীকে ব্যথা দিবেন না। মাঝে মাঝে প্রশ্ন করুন যে তার কেমন লাগছে। যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিনীর যোনি রস কমে আসছে বা শুকিয়ে আসছে তাহলে সঙ্গম শেষ করে দিন, জোর করে দীর্ঘায়িত করবেন না। এছাড়া, মিলনের এক পর্যায়ে যখন আপনি অনুভব করছেন যে আপনার একটি শিরশিরে অনুভূতি হচ্ছে এবং এই অনুভূতি আর একটু বাড়লেই আপনার বীর্যপাত হয়ে যাবে, তখন কোমর সঞ্চালন বন্ধ করুন । চুপচাপ সঙ্গিনীর উপর শুয়ে থাকুন এবং তাকে গলায় বা কানে চুমু দিন। চোখ বা চুলের প্রশংসা করুন। আলতো ভাবে তাকে আদর করুন। এতে আপনার মনোযোগ অন্য দিকে সরবে এবং শিরশিরে অনুভূতি কমে গিয়ে যৌনাঙ্গ আবার স্বাভাবিক হবে। এরপর আবার মিলন শুরু করুন । প্রক্রিয়া টি ২-৩ বার এর বেশী প্রয়োগ করবেন না।

#আসন পরিবর্তন করুন; এক এক দম্পতি এক এক আসনে তৃপ্তি বোধ করেন, তাই ধীরে ধীরে জেনে নিন আপনাদের কোন আসন পছন্দ । সেগুলো প্রয়োগ করুন। ব্লোজব পছন্দ করলে তা করতে পারেন।

#মিলনের সময় যদি অল্প সময়ে নারী সঙ্গির যোনি রস শুকিয়ে আসে বা পুরুষ সঙ্গির লিঙ্গ তেমন শক্ত না হয় বা দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। নিয়মিত যৌন জীবন এর মাঝে মাসে ২-৪ বার এরকম হতেই পারে। সঙ্গীকে জানান যে কোন অসুবিধা নেই । পরের বার ভালো হবে। প্রত্যেক বার যে পূর্ণ যৌন মিলন করতেই হবে এমন কথা নেই।

#বিভিন্ন দম্পতি উত্তেজিত হবার এক এক নিয়ম যেমন- চুম্বন, ব্লোজব পছন্দ করেন, জেনে নিন আপনাদের কোনটি পছন্দ । সেটি করুন,একক সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার সঙ্গী যদি কোনটি পছন্দ না করেন তবে সেটি করবেন না ।

#আপনার ইচ্ছা করছে কিন্তু আপনার সঙ্গীর করছে না। তাহলে নিজেকে সংযত করুন। ঘরে নগ্ন চলাফেরা করবেন না তাহলে শরীরের প্রতি আকর্ষণ কমে যেতে পারে। নারী সঙ্গীরা রাতে শোবার আগে পোশাক পরিবর্তন করে যৌন উত্তেজক পোশাক পড়ুন। এক্ষেত্রে ব্রা-পেন্টি আদর্শ পোষাক হতে পারে।,

#নারী সঙ্গীরা ভাববেন না যে পুরুষ সঙ্গিরাই সবসময় আমন্ত্রণ জানাবে। আপনিও জানান, নিজের যৌন চাহিদা প্রকাশ করুন। মনে রাখবেন, পুরুষরা সবসময়ই চায় যে। তার সঙ্গীনী তাকে আমন্ত্রণ করুক এবং তার সাথে জোর করে যৌন মিলন করুক আর তাকে উত্তেজিত করুক। তাই সবসময় পুরুষদের আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষা করবেন না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *