জেনে নিন যৌন-সমস্যা সমাধানে রসুনের কার্যকারিতা!

জেনে নিন যৌন-সমস্যা সমাধানে রসুনের কার্যকারিতা!


এসবাংলাপ্রো রিপোর্ট:: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের বেলায়ও কিছু যৌন সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের অনুন্নত মানের “স্পার্মের জন্য” যৌন-অক্ষমতা দেখা যায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, “প্রতি মিলি লিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন”।

বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে।এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক রসুন। কেননা সুস্থ বীর্য তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভাল ফল দিয়ে থাকে। রসুন কে ‘গরীবের-পেনিসিলিন’ বলা হয়।

কারণ, “এটি (অ্যান্টিসেপ্টিক) হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকি”।

আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে- এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে।”

এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুবই কার্যকরী।


***যেভানে রসুন সেবন করতে হবে- 


প্র’তিদিন নিয়ম করে কাঁচা রসুনের কয়েকটি কোয়া খেলে শরীরের যৌবনদীর্ঘ স্থায়ি হয়। যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গেছেন, তারা প্রতিদিন দুকোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিৎ এতে ভাল ফল পাবেন। যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা-আমলকির রস দুই বা এক চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে “স্ত্রী-পুরুষ” উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।

***সাবধানতা জেনে নিন-

যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ রসুন রক্তের জমাট-বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে “অ্যালার্জি” ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে “দুগ্ধদানকারী” মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।”


এসবাংলাপ্রো/স

Similar Posts