সংখ্যালঘু মুসলিমদের বন্দি করে রাখতে গোপনে শত শত বন্দিশালা ও ক্যাম্প নির্মাণ করেছে চীন। গত বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছর ধরে গোপনে এসব বন্দিশালা তৈরি করছে চীন। বন্দীশালাগুলো উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন। কিছু কিছু বন্দীশালার ধারণক্ষমতা ১০ হাজারের বেশি।
ওইসব বন্দীশালায় অস্থায়ীভাবে দেশটির পাবলিক ভবনগুলোতে বন্দি করে রাখা মুসলিমদের স্থানান্তর করার ইঙ্গিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ এবং পূর্বে চীনের বন্দিশিবিরে আটককৃতদের সাক্ষাতকারের বরাতে বাজফিড নিউজ, ২০১৭ সালের পর থেকে চীন ২৬০ টির বেশি কাঠামো নির্মাণ করেছে তা শনাক্ত করেছে।
এছাড়া মুসলিমদের বন্দি করে রাখার জন্য আরো অনেক বন্দি শালার নির্মাণ কাজ চলছে।
চীনের বন্দীশালা থেকে পালিয়ে আসা অনেকের মুখে উথে এসেছে ভয়ানক বর্ণনা।
হেনিশান বারডিবেক (৪৯) যিনি একসময় চীনের তাচেং অঞ্চলে বন্দি ছিলেন, তিনি বাজফিড’কে বলেন, সেখানে লোকেরা ভয়ানকভাবে জীবনযাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু তরুণ আমাদের মত সহনশীল নয়- তা কেঁদেছে, চিৎকার করেছে।
‘যুবতী মেয়েদের নির্জন কারাবাসে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের ভাষ্য ছিল তারা সেখানেই মারা যেতে যায়।’
অরিনবেক ককসেবেক যিনি একজন সংখ্যালঘু কাজাখ তিনি ২০১৭ সালের শেষের দিকে চীনা শাসকের বন্দীশিবিরে আটক হন। তিনি বলেন, প্রথমে তিনি একটি রুমে সাত জন থাকতেন এরপর প্রতি মাসে আরো অনেকে আসতে থাকে এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়।
কোকসেবেক আরো বলেন, সেখানকার অবস্থা ছিল দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত। এর আগে ২০১৮ সালের জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, কট্টরপন্থী সন্দেহে ১০ লাখ চীনা উইঘুর মুসলিমকে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, বাজফিড নিউজ।