শালিকা আর দুলাভাইয়ের শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় মাকে গলা কেটে হত্যা


মেয়ে ও জামাতা মিলে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি ঘটালো। দুলাভাইয়ের সাথে শালিকার অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাটি দেখে ফেলায় মাকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে মেয়ে ও জামাতা। এ ঘটনাটি ঘটে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মেয়ে ও জামাতাকে আটক করেছে ।

আজ বুধবার  দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরন মিয়ার বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে মোগল মিয়ার সাথে বিয়ে দেন এদিকে, বিয়ের কয়েক বছর পর জেসমিন আক্তার জিবিকার তাগিদে সৌদিআরব চলে যান এরপর থেকে মোগল মিয়া তার শিশুপুত্র ইয়াসিনকে নিয়ে শ্বশুড়ালয়ে বসবাস করছেন। এ সুযোগে মোগল মিয়া তার শালিকা শান্তি বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।’

তিনি আরও জানান, ‘তারা একাধিকবার অবৈধ সম্পর্কের জেরে দু’জন শারীরিক সম্পর্কও চালিয়ে যায়। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্ক চলাকালে নিহত মোগল মিয়ার শ্বাশুড়ি ও শান্তি বেগমের মা ছলেমা বেগমের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় মেয়ে ও জামাতার সম্মানের কথা চিন্তা করে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে দু’নকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন কিন্তু এরপরও তাদের অবৈধ মেলামেশা আরও বেড়ে যায়।’

এদিকে, ‘ঈদের দিন রাতে তারা ঘরের মেঝেতে শুয়ে আবারও অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। ছলেমা বেগম তাদেরকে এ অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় জামাতা মোগল মিয়া ও ছোট মেয়ে শান্তি বেগম মিলে ছলেমা বেগমের মুখ চেপে ধরে দাঁরালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে।’ 

তাকে হত্যা করে তারপর মোগল মিয়া নিজ ঘরে গিয়ে রক্তমাখা কাপড় বদলিয়ে অভিনয় করে ঘুমিয়ে পরেন এবং প্লানমতো শান্তি বেগম ডাকাত ডাকাত বলে অভিনয়ের সুরে চিৎকার শুরু করতে থাকেন। এলাকাবাসী তার আত্মচিৎকারে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে তিনি জানান যে, তার মাকে ডাকাতদল মিলে গলা কেটে হত্যা করেছে।’

পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘এ ঘটনায় পুলিশ দুই ঘাতকসহ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।’

Similar Posts